প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি

প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি

পরিচিতি ও অবদান : একটি আদর্শ জাতি গঠনে সু-শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। সভ্য ও সুশীল সমাজ বিনির্মাণে দরকার সার্বজনীন শিক্ষার ব্যবস্থা। মহান আল্লাহ প্রদত্ত্ব ইলমে ওহী ভিত্তিক দীনি শিক্ষা ব্যবস্থাই হল সার্বজনীন ও আদর্শ শিক্ষা ব্যবস্থা। সময়ের এ পরম বাস্তবতাকে উপলদ্ধি করে ২০১০ ইংরেজীতে মোতাবেক ১৪৩১ হিজরী সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দারুস সুন্নাহ ইসলামিয়া মাদরাসা ( হাইধনকান্দি মাদরাসা ) এটি বাংলাদেশর দক্ষিণ অঞ্চল কুমিল্লা জেলার স্বনামধন্য আরবী বিশ্ববিদ্যালয় । আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকীদা-বিশ্বাসে অটল থেকে দ্বীনী শিক্ষা বিস্তার, দ্বীনের হিফাযত ও প্রচার-প্রসার, শিরক-বিদ‘আত ও সন্ত্রাসী কর্ম-কা-ের মূলোৎপাটন এবং আদর্শ নাগরিক তৈরীর দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে গড়ে উঠে এ মাদরাসা, নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বর্তমান অবস্থানে উপনিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দারুস সুন্নাহ ইসলামিয়া মাদরাসা) তার মহান লক্ষ অর্জনে সুখ্যাতি ও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলছে অত্র অঞ্চলে। মহান রাব্বুল আলামীনের ফজল ও করমে মাদরাসার উত্তরোত্তর উন্নতি অগ্রগতি ও সুনাম অর্জনে অবিজ্ঞ, বিচক্ষণ পরিচালক মাওলানা আমজাদ শাহ জুনায়েদ ও শিক্ষক মন্ডলীর অক্লান্ত পরিশ্রম এবং দেশ-বিদেশের দ্বীন দরদী দানশীল ও ইসলাম প্রিয় ভাই-বোনদের সার্বিক সহযোগিতা বিশেষ ভাবে স্মরণীয়। ভৌগলিক অবস্থান : কুমিল্লা জেলার প্রাণ কেন্দ্র গৌরীপুর রায়পুর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার উত্তরে হাইধনকান্দি মাদরাসার অবস্থান । সবুজ শ্যামল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ক্রোড়ে অবস্থিত ‍মাদরাসাটি স্ব-মহিমায় উদ্ভাসিত । চার দিকে গাছপালা বেষ্টিত সবুজের ছায়াঘেরা শান্ত-শীতল পরিবেশে । বিশাল বিস্তৃত জলাশয়ের কোল ঘেষে রাস্তার পাশেই দোতলা বিশিষ্ট শিক্ষা ভবন ও ছাত্রাবাস আরো রয়েছে বৃহৎ দৃষ্টিনান্দনিক মসজিদ। নাম দারুস সুন্নাহ ইসলামিয়া মাদরাসা (ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসা) প্রতিষ্ঠাতা : আলহাজ্ব মাষ্টার মহীউদ্দীন আখন্দ রহ. ও মাওলানা আমজাদ শাহ জুনায়েদ মাদরাসার লক্ষ উদ্দেশ্য : কুরআন ও হাদীসের সর্বোচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে সাহাবোয়ে কেরামের নমুনায় ও সালফে সালেহীনদের পদাংকানুসারে খোদাভীরু একদল যুগোপযোগী সচেতন হক্কানী আলেম হিসাবে গড়ে তোলা তা’লিম ও ত্বারবীয়তের মাধ্যমে ছাত্রদেরকে দ্বীনদার দেশপ্রেমিক ও দেশ গড়া ও মানবজাতির কল্যানে আদর্শ নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা। দাওয়াতের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরে পূর্ণদ্বীন বাস্তবায়ন ও মুসলিম উম্মাহর হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনা। মাতৃভাষা চর্চায় ও সাহিত্যের ময়দানে একদল দূর্বার ,যোগ্য ও কলম সৈনিক তৈরি করা। কুফর , শিরক, বিদ’আত নিরসনে ও সকল প্রকার বাতিলের মুলোৎপাটনের উদ্দেশ্যে ছাত্রদের যোগ্য আলেম হিসেবে গড়ে তোলা। মাদরাসার আদর্শ ও চেতনা: এশিয়া উপমহাদেশে ইসলাম ও মুসলামানদের অস্তিত্ব রক্ষায় এব রাষ্টীয় স্বাধীন সাবভৌমত্বকে অর্জন রক্ষাসহ পাশ্চাত্ববাদী সহশিক্ষা ও বিজাতিয় অপসাংস্কৃতির ছোবল থেকে জাতিকে রক্ষা করা ও পূর্ণাঙ্গ দ্বীণী শিক্ষার বিখ্যাত ইসলামী বিদাপীঠ দারুল উলূম দেওবন্দ মাদরাসা। ইলম (জ্ঞান) আমল ও মাজহাবের হেফাজতের সাথে সাথে দেশ ও জাতির হেফাজত ও স্বকীয় মযাদা প্রতিষ্ঠার দুর্গমনীয় প্রেরনা ছিল এর অন্যতম উৎস। দারুল উলূম দেওবন্দের সেই মোহনা থেকে সূচনা করে পথিবীর আনাচে-কানাচে বয়ে চলেছে ক্বওমী মাদরাসার স্রোতধারা । এই ধারাবহিকাতায় বাংলাদেশেও মানব জাতির প্রয়োজন পূরণে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত দারুস সুন্নাহ ইসলামিয়া মাদরাসাটিও। সেই বিশ্ব বিখাত বিদাপীঠ দারুাল উলূম দেওবন্দ মাদরসার আদর্শ ও চিন্তা চেতনায় গড় উঠা একটি অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । মাদরাসার বিশেষত্ব: এই মাদরাসাটি একটি বেসরকারী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । আল্লাহর উপর ভরসা করে মুসলিম দ্বীন দরদী বক্তিদের সহযোগিতায় এর যাবতীয় খরচ নির্বাহ হয়ে আসছে এবং অত্র মাদরাসার লিল্লাহ বোর্ডিং হতে গরীব এতিম ও মেধাবী ছাত্রদেরকে ফ্রী খাবার ইতাদি বাবদ আর্থিক সহযোগিতা করা হয়। এবং ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলকে মাদরাসা থেকে সাময়িক ভাবে দরসী কিতাব দেওয়া হয় । ছাত্রদেরকে সর্বদায় সুন্নাতের পাবন্দী এবং তাদের আমল আখলাককের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়। মাদরাসার পাঠ্যসূচী § ইলমে আকাইদ বা উসুলে আকাইদ § ইলমে ইকতিসাদ বা অর্থনীতি § ইলমে তাফসীর ও উসূলে তাফসীর § ইলমে হাইয়াত বা সৌর বিজ্ঞান শাস্ত্র § ইলমে হাদীস ও উসূলে হাদীস § ইলমে মানতিক ও ফালসাফা বা যুক্তি বিদ্যা ও দর্শণ শাস্ত্র § ইলমে ফিকাহ ও উসূলে ফিকাহ § ইলমে বালাগাত বাভাষা অলংকার শাস্ত্র § ইলমে ফারায়েয বা উত্তরাধিকারী সম্পদ বন্টন বিদ্যা § ইলমে আরুয বা ছন্দ শাস্ত্র § ইলমে ফাতওয়া বা ইসলামী আইন শাস্ত্র ইলমে তাজবিদ § ইলমে নাহু বা বাক্য গঠন বিধি § ইলমে আদব বা আরবী , বাংলা, উর্দু , ফার্সী সাহিত্য § ইলমে ছরফ বা শব্দ প্রকরণ বৈষয়িক বিদ্যা বা বাংলা, গণিত, ইংরেজী, ভূগোল, ইতিহাস, পৌর বিজ্ঞান প্রভৃতি। মাদরাসার শিক্ষাস্তর সমূহ ও শিক্ষাব্যবস্থাপনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ মকতব (নুরানী) বিভাগ :- এ বিভাগে অল্প বয়সের ছেলে-মেয়েদেরকে বিশেষ ট্রেনিং প্রাপ্ত অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দ্বারা শুদ্ধ ভাবে কুরআন মাজীদ শিক্ষা দানের সাথে সাথে দৈনন্দিন জীবন পরিচালনার জন্য অবশ্য জরুরী মাসলা-মাসায়েল, মাসনুন দুয়া, দুরুদশরীফ সুরা-কেরাত ও নামাজ শিক্ষা দেয়া হয়। প্রাইমারী পর্যায়ের বাংলা, অংক, ইংরেজী শিক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে। যাতে করে এবিভাগ হতে উত্তীর্ণ কোন শিক্ষার্থী জেনারেল শিক্ষায় অগ্রসর হলেও এশিক্ষা তার ধর্মীয় জীবনের মূল ভিত্তি হতে পারে । এ বিভাগের শিক্ষার পূর্ণ কোর্স ৩ বছরে সমাপ্ত করা হয়। নাযেরা বিভাগ :নূরাণী শিক্ষা সমাপ্তকারী শিশুদেরকে তাজবীদ ও সিফাতের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পূর্ন কুরআন শরীফ দেখে দেখে বিশুদ্ধ ভাবে পড়া ও হিফযের উপযোগী শিক্ষার্থীদেরকে বিশেষভাবে মশকের মাধ্যমে গড়ে তোলা। হিফযুল কুরআন বিভাগ :- শিশু কিশোরদেরকে অনুর্ধ 4 বছরে ভিন্ন ভিন্ন সিফাত ও কাইফিয়াত সহ যুগশ্রেষ্ঠ কারীদের কিরাত মশকের সাথে সম্পুর্ন কুরআন শরীফ উত্তমরুপে হিফয করানোর বিশেষ প্রয়াস কিতাব বিভাগ: এ বিভাগই মাদরাসার শ্রেণীবিন্যাসে প্রধান ও সর্ব বৃহৎ বিভাগ । এতে বর্তমানে ৫টি স্তর রয়েছে। প্রত্যক স্তরে শিক্ষক কোয়ালিফিকেশন শাইখুল হাদিস, মোহাদ্দিস, ফাযেলে দেওবন্দ, মুফতি, আদিব, মুফাসসির এছাড়াও সাধারণ শিক্ষার জন্য রয়েছে প্রত্যেক বিভাগের পৃথক পৃথক শিক্ষক (মাস্টার্স/কামিল) শিক্ষক দ্বারা আরবী, উর্দু, ফারসী, বাংলা, গণিত, ইংরেজী, আরবী সাহিত্য, আরবী ব্যাকরণ, কুরআনুল কারীমের অনুবাদ ও তাফসীর, হাদীস শাস্ত্রের সর্বোচ্চ শিক্ষা, দর্শণ এবং অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করা হয়। মাদরাসার ছাত্র প্রশিক্ষণ কর্মসূচী ও অন্যান্য বিভাগ সমূহ সিলেবাস ভ’ক্ত পাঠ্য বই বা কিতাব পত্রের পাশাপাশি শ্কিষার্থীতের বহুমুখী প্রতিভায় বিকাশ সাধন ও তাদের অন্তর নিহিত প্রভা বিকিরনের লক্ষ্যে নিম্মোক্ত কর্মসূজী গ্রহণ করা হয়। দেয়ালিকা : বর্তমান যুগ, লিখনীর যুগ। বলিষ্ঠ লিখনীর মাধ্যমে দ্বীন ইসলামের আদর্শ ও শিক্ষা বর্তমান আদর্শ পীড়িত। আদর্শ চ্যুৎ জনগণের সামনে তুলে ধরার মহাৎ সংকল্প নিয়ে ছাত্রদের ইমান, আমল, আখলাককে সামনে রেখে মাতৃভাষা ও আরবী ভাষার সাহিত্য সাধনায় যুগপোযোগি কলম সৈনিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে দারুস সুন্নাহ ইসলামিয়া মাদরাসার ) শিক্ষার্থী গণ আস-সুন্নাহ নামে বাংলা ভাষায় একটি দেয়াল পত্রিকা এবং দাওয়াতুস সুন্নাহ নামে আরবী ভাষার একটি দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ করে থাকে। উক্ত দুটি পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষনা মূলক গল্প, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, ফিচার, ও ছড়া-কবিতা নিয়মিত প্রকাশনায় মাদরাসার ছাত্রগণের সাহিত্য চর্চার মান যুগোপযোগি দুর্বার কলম সৈনিক, আর্ট বা শিপ্লকলায় নিপুনতা এবং ব্যবস্থাপনার দক্ষতার সার্থক পরিচয় বহন করে। সাপ্তাহিক বক্তৃতা প্রশিক্ষণ : একজন হক্কানী আলেম হিসেবে দ্বীনী ইলেমের আলো জনগণের মাঝে প্রচার ও জনগণকে হিদায়াত এবং নাজাতের বাণী পৌছানোর জন্য সুন্দর বলিষ্ঠ রুপে উপস্থাপন করা একান্ত দায়িত্ব। তাই ইশয়াতে দ্বীনের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পারদর্শীরুপে গড়ে তুলতে হলে বাকশক্তির স্ফুরণ এক মোক্ষম মাধ্যম। তাই এই লক্ষ অর্জনের উদ্দেশ্যে সাপ্তাহের প্রতি বৃহঃস্প্রতিবার বাদ যোহর হতে ২ঘন্টা পর্যন্ত বিষয় বিত্তিক বক্তৃতা প্রশিক্ষণ সেমিনার রয়েছে। ছাত্র পাঠাগার : সিলেবাসের অন্তরভুক্ত পাঠ্য বিষয়ের জ্ঞান অর্জনের সাথে সাথে ছাত্রদের কে আম্বিয়ায়ে কেরাম (আ.) সাহাবায়ে কেরাম (রা.) আইম্মায়ে দ্বীন, বুজুর্গ, দার্শনিক ব্যক্তিদের জীবন চরিত ও তাদের গন্থাবলীর মাধ্যমে স্বীয় নৈতিক চরিত্র গঠন এবং আউট নলেজ বা বহুমুখী জ্ঞান অর্জনের লক্ষে প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ইতিহাস, ভুগল, অর্থনীতি, সাধারণ জ্ঞানের বই পুস্তক পাঠের মাধ্যমে জ্ঞানের পরিধি প্রশস্ত ও আধুনিক যুগ-জিজ্ঞাসার বিভিন্ন বিষয়ে বুৎপত্তি অর্জনের জন্য স্বতন্ত্র পুস্তক সমৃদ্ধ দারুস সুন্নাহ ছাত্র পাঠাগার রয়েছে। কুতুব খানা/গ্রন্থাগার : কুতুব খানা বা গন্থগার মাদরাসার অবিচ্ছেদ্য একটি অঙ্গ। যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কুতুব খানা বা গন্থাগার থাকা অপরিহার্য । বিশেষ ভাবে দ্বীনী শিক্ষা প্রষ্ঠিানে তার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কারণ এসমস্ত দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা ক্বওমী মাদরাসা গুলোতে এই বিভাগ থেকে ছাত্রদের কে শিক্ষা বর্ষের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ্য (দরসীয়) কিতাব পত্র ধার স্বরুপ সরবরাহ করা হয়। এবং পাঠ্য বিষয়ে পাঠদান করার জন্য শিক্ষক কে সংলিষ্ট বিষয়ের যাবতীয় সহায়ক (শরাহ্) গ্রন্থ গভীর মনোযোগ সহকারে অধ্যয়ণ ( মুতা‘লাআ ) করতে হয়। এবং এ জন্য পাঠ্য কিতাব সহ ভাষা গ্রন্থ ও সংলিষ্ট কিতাব পত্রের বিরাট সম্ভারের প্রয়োজন হয়ে থাকে। যা একজন শিক্ষকের জন্য ব্যক্তিগত ভাবে সংগ্রহ করা খুব ই কঠিন। মুনাযারা,মুবাহাসা বা বিতর্ক অনুষ্ঠান : মাসায়েলে কুরবানী এবং অন্যান্য সময়ে বিভিন্ন বাতিল ফেরকা ও ভ্রান্ত মতবাদসমূহের মুখোশ উন্মোচন এবং সমাজে প্রচলিত অপসংষ্কৃতির ভ-ামী প্রমাণ ও এর মুলোৎপাটনে যথাযোগ্য দক্ষতা অর্জনের লক্ষে বিচারক ম-লির উপস্থিতিতে বিতর্ক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়। ফতোয়া ও ফারায়েয বিভাগ : মুসলিম উম্মাহ দৈনন্দিন জীবনে ও প্রত্যহিক বিষয়ে শরীয়ত মোতাবেক আমল করতে গিয়ে যে সব সমস্যার সম্মুখীন হন এবং পারিবারিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বিয়ে –তালাক লেন-দেন পৈত্রিক সম্পদ ও সম্পত্তি বন্টন ইত্যাদি বিষয়ে মানুষ যে সব জটিলতার সম্মুখীন হয়ে থাকে তাদের উপকার ওসেবা করার উদ্দেশ্যে দারুস সুন্নাহ ইসলামিয়া মাদরাসার পক্ষ থেকে সুদক্ষ মুফতিয়ানে কেরাম গণের দ্বারা গঠিত ফতোয়া ও ফারায়েজ বিভাগের মাধ্যমে সে সব মাসয়ালা ও সমস্যা গুলোর দলিল ভিত্তিক লিখিত ভাবে ইসলামী সমাধান ও শরীয়তের বিশুদ্ধ বিধি বিধান এ বিভাগ থেকে পেশ করা হয়। দাওয়াত ও তাবলীগ: অত্র মাদরাসার ছাত্ররা ক্লাসের পাশা পাশি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী সর্বসাধারণের কাছে পৌছে দেয়ার জন্য সপ্তাহের বৃহঃপতি বার জামাত বন্দি হয়ে অন্যাত্র চব্বিশ ঘন্টা দাওয়াত ও তাবলীগের কাজে ব্যয় করে। এবং প্রতি বুধবার আছরের পর এলাকায় দাওয়াতের মেহনত ও মাগরীব বাদ বয়ানের ব্যবস্থা রয়েছে। আবাসিক ছাত্রাবাস ও বোর্ডিং : দ্বীনী শিক্ষা অর্জন করার পূর্ব শর্ত হল গুনাহের দুষ্ট ছোবল থেকে আত্মরক্ষায় প্রয়াসী হওয়া । বাহিরের কুলুষিত পরিবেশ শিক্ষার্থীর চরিত্র গঠনের অনুকুল নয়। তাই উস্তাদদের সার্বক্ষণিক তত্ত্ববাধনে ছাত্রদেরকে আদর্শ ও চরিত্রবান রুপে গড়েতোলার লক্ষে অত্র মাদরাসায় আবাসিক বোর্ডিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সচ্চল তালেবে ইলমগন ‍তাদের সাধ্যানুযায়ী টাকা দিয়ে এবং লিল্লাহ বোর্ডিং হতে এতিম গরীব ও মেধাবী ছাত্রদেরকে ফ্রি তিন বেলা উন্নত মানের মানসম্মত খাবার পরিবেশন করা হয়। এছাড়া আরো রয়েছে সাহিত্য বিভাগ , গবেষণা বিভাগ, প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগ, ছাত্র কাফেলা বিভাগ, মাদরাসার ভবিষ্যত পরিকল্পনা: ১.জরুরী ভিত্তিতে শিক্ষা ভবনের তিনতলার কাজ সমাপ্ত করা। ২. নূরাণী কিন্ডারগার্টেনের জন্য স্বতন্ত্র ঘর নির্মাণ করা। ৩. উলূমুল হাদীস ও ইলমে ক্বিরাত উচ্চতর ক্বিরাত বিভাগ চালু করা। ৪. মসজিদের ২য় ও ৩য় তলা নির্মাণ করা। ৫. ছাত্রাবাস, উযুখানা ও গোসল খানার জন্য প্রয়োজনীয় জমি ক্রয় করা। ৬. মাদরাসার শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ষ্টাফ কোয়াটার নির্মাণ করা। আমাদের প্রত্যাশা : মনোরম আবাসিক পরিবেশে বিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে সাবলীল গতিতে মাদরাসাটি এগিয়ে চলেছে তার অভিষ্ট লক্ষ্যপানে। প্রস্তুত করছে দেশ, জাতি ও দ্বীনের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ আদর্শ সৈনিকদের। আমরা প্রত্যাশা করি আমাদের প্রাণপ্রিয় মাদারে ইলমি দারুস সুন্নাহর কার্যক্রম হোক আরও গতিমান, বেগবান ও সাফল্যমণ্ডিত । আমীন।

arrow_upward